পড়াশোনা করতে চান এম.আই.টি. তে?

খবর টা জানার পর থেকে আর তর সইছিলনা আপনাদেরকে জানাতে। তাই টিউন করতে বসে পরলাম। কিন্তু যেই না টিউন করতে বসলাম ওমনি বিদ্যুৎ মামা আমার সাথে লুকোচুরি খেলা শুরু করল। তাই বিদ্যুৎ আসার পর এক মুহূর্তও দেরি করিনি।  প্রথম আলোতে গত বছর এম.আই.টি. সম্পর্কে পড়েছিলাম। তখন থেকেই ইচ্ছা মাস্টার্স করব ওখানে।
কিন্তু এর মধ্যেই অনলাইনে Circuits & Electronics এর উপর কোর্স কোরবার সুযোগ পেয়ে গেলাম, তার উপর কোর্স সম্পন্ন করতে পারলে সার্টিফিকেট দিবে, চাইলে আপনিও এ সুযোগ গ্রহন করতে পারেন। পড়াশোনা এবং পরীক্ষা দুটোই সম্পূর্ণভাবে অনলাইন নির্ভর হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

মার্চ মাস থেকে এই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে তারা জানিয়েছে। প্রথম যে পাঠটি তারা দিতে চলেছে তার বিষয় হচ্ছে সার্কিট এবং ইলেকট্রনিক্স। ইতোমধ্যে পাঠটিতে যোগ দেবার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
অনলাইনের এই পাঠদা্ন কর্মসূচিটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন এটি সম্পূর্ণ ভাবে স্বয়ংক্রিয় এবং বোধগম্য হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা সফলভাবে কোর্স শেষ করলে এমআইটি থেকে সনদপত্র পাবে বলে জানিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের এই উদ্যোগকে শিক্ষাক্ষেত্রে বাঁধা ভেঙ্গে দেবার এক উদ্যোগ বলে অভিহিত করেছে।
অনলাইনে শিক্ষা এবং সনদ প্র্দানকারী প্রতিষ্ঠান এখন অনেক রয়েছে কিন্তু এমআইটির পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে ছাত্র হবার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন হবে না কোন খরচ অথবা কোন শর্তের। এমনকি পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোও অনলাইনেই প্রদান করা হবে। ২০১১ সালের বড়দিনে এই সিদ্ধান্ত নেয় এমআইটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিষয়ের সাথে মিল রেখে তৈরি করে ৬.০০২এক্স:সার্কিট এবং ইলেক্ট্রনিক্স।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূখপাত্র জানিয়েছেন অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম দেখেকেউ যদি মনে করে এটা খুব সহজ তাহলে ভূল করবে। এমআইটি বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছে যে ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি, ই-পাঠ্যবই, অনলাইনেই আলোচনা এবং পাঠ্যক্রমের সাথে মিল রেখে প্রয়োজনীয় ভিডিও সব কিছুই পাবে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দশ ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হবে শিক্ষার্থীদের এবং কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুন মাসে।
এমআইটি'র কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরির পরিচালক এবং এই অনলাইন পাঠ্যক্রমের একজন শিক্ষক আনন্ত আগারওয়াল জানিয়েছেন ছাত্ররা যেন মজা পায় সেভাবেই এই পাঠ্যক্রমটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যদিও বিষয়টি পড়ার জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়নি তারপরেও শিক্ষার্থীদের অংক এবং বিজ্ঞান বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
একেবারেই নতুন ধরনের এই শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।যাদের শেখার অনেক আগ্রহ কিন্তু প্রয়োজনীয় সহযোগীতার অভাবে এই সুযোগ পাচ্ছেননা তাদের জন্য তো অবশ্যই এটি খুব ভাল খবর।
এমআইটির পাঠ্যক্রমে যোগ দেবার জন্য এখানে ক্লিক করুন
ক্লিক করার পর নিচের ছবির মত একটা পেজ আসবে।
তীর চিহ্ন দেখান স্থানে ক্লিক করুন।

এরপর এরকম নিচের মত একটা পেজ আসবে। ওখানে খালি ঘরগুলো পূরণ করে সাইন আপ করুন।


এরপর আপনার মেইল চেক করে একাউন্ট অ্যাক্টিভ করে নিন।


এক্টিভিসন সফল হলে নিচের মত পেজ আসবে। এরপর অপেক্ষাই থাকুন কোর্স শুরু হবার।



 কেমন লাগল? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Comments

  1. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  3. আপনার টিউনটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। আচ্ছা,Certificate পেলে সেটি নিতে কত খরচ পড়বে?

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বাংলাদেশ এ তৈরি হচ্ছে প্রথম ডিজিটাল ম্যাপ!!!

STEPHEN HAWKING the scientist who never stops...